💻 কম্পিউটারের প্রজন্মভিত্তিক বিবর্তন (Generations of Computers)
১ম প্রজন্ম (১৯৪০–১৯৫৬)
প্রযুক্তি: ভ্যাকুয়াম টিউব
ইনপুট/আউটপুট: পাঞ্চ কার্ড ও কাগজে ছাপা আউটপুট
মেমোরি: ম্যাগনেটিক ড্রাম/টেপ
ভাষা: মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ
বৈশিষ্ট্য: বড় আকৃতির, গরম হতো, ধীরগতি
উদাহরণ: ENIAC, UNIVAC I, IBM 650
২য় প্রজন্ম (১৯৫৬–১৯৬৩)
প্রযুক্তি: ট্রানজিস্টর
ইনপুট/আউটপুট: পাঞ্চ কার্ড ও প্রিন্টার
মেমোরি: ম্যাগনেটিক কোর
ভাষা: অ্যাসেম্বলি, FORTRAN, COBOL
বৈশিষ্ট্য: আকারে ছোট, দ্রুতগতি, তুলনামূলক নির্ভরযোগ্য
উদাহরণ: IBM 1401, IBM 7090, UNIVAC 1107
৩য় প্রজন্ম (১৯৬৪–১৯৭১)
প্রযুক্তি: ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC)
ইনপুট/আউটপুট: মনিটর, কীবোর্ড
মেমোরি: ম্যাগনেটিক ডিস্ক
ভাষা: BASIC, Pascal, C
বৈশিষ্ট্য: GUI (Graphical User Interface) এর সূচনা
উদাহরণ: IBM 360, IBM 370, PDP-11
৪র্থ প্রজন্ম (১৯৭১–বর্তমান)
প্রযুক্তি: মাইক্রোপ্রসেসর (VLSI)
ইনপুট/আউটপুট: মাউস, স্ক্যানার, মনিটর
মেমোরি: RAM, ROM, হার্ডডিস্ক, SSD
ভাষা: C++, Java, Python
বৈশিষ্ট্য: ছোট আকৃতি, দ্রুত, সাশ্রয়ী
উদাহরণ: IBM PC, Apple Macintosh
৫ম প্রজন্ম (বর্তমান ও ভবিষ্যৎ)
প্রযুক্তি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ULSI
বৈশিষ্ট্য: রোবট, ভাষা অনুবাদ, ভয়েস রিকগনিশন, মেশিন লার্নিং
ভাষা: Natural language, logic programming
উদাহরণ: AI Robot, Voice Assistant, Self-driving car
---
⚙️ কম্পিউটারের প্রকারভেদ (Types of Computers)
কাজের ধরন অনুযায়ী:
১. এনালগ কম্পিউটার
কাজ করে অবিচ্ছিন্ন মান (continuous data) নিয়ে
মিটার বা কাঁটার মাধ্যমে ফলাফল দেখায়
উদাহরণ: পেট্রোল পাম্পের মিটার, থার্মোমিটার, স্পিডোমিটার
২. ডিজিটাল কম্পিউটার
কাজ করে সংখ্যার মাধ্যমে
বাইনারি (0 ও 1) পদ্ধতিতে প্রসেস করে
উদাহরণ: ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ক্যালকুলেটর
৩. হাইব্রিড কম্পিউটার
এনালগ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সংমিশ্রণ
উদাহরণ: হাসপাতালের ICU মনিটর (অ্যানালগ দিয়ে ডেটা সংগ্রহ, ডিজিটাল দিয়ে বিশ্লেষণ)
---
আকার ও ক্ষমতা অনুযায়ী:
১. সুপার কম্পিউটার
সবচেয়ে দ্রুত, শক্তিশালী ও ব্যয়বহুল
বৈজ্ঞানিক গবেষণা, আবহাওয়া পূর্বাভাস, মহাকাশ গবেষণায় ব্যবহৃত
উদাহরণ: Cray-1, IBM Summit, Fugaku
২. মেইনফ্রেম কম্পিউটার
বহু ব্যবহারকারী একসাথে কাজ করতে পারে
ব্যাংক, বিমা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত
উদাহরণ: IBM 4341, UNIVAC 1108
৩. মিনি কম্পিউটার
মেইনফ্রেমের তুলনায় ছোট
অফিস, শিল্প ও গবেষণায় ব্যবহৃত
উদাহরণ: PDP-11, VAX series
৪. মাইক্রো কম্পিউটার (ব্যক্তিগত কম্পিউটার)
সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য
অফিস, বাসা, স্কুলে ব্যবহৃত
উদাহরণ: IBM PC, Apple Macintosh, Dell, HP
---
মাইক্রো কম্পিউটারের উপবিভাগ:
১. Super Micro Computer – উন্নত পারফরম্যান্সের ডেস্কটপ বা ওয়ার্কস্টেশন
২. Desktop Computer – ডেস্কে স্থাপনযোগ্য সাধারণ পিসি
৩. Laptop – ছোট, হালকা ও বহনযোগ্য
➡️ Laptop-এর উপশ্রেণি:
Notebook: পাতলা ও হালকা ল্যাপটপ
PDA (Personal Digital Assistant): ছোট আকারের হাতের কম্পিউটার, যেমন পুরোনো দিনের Palmtop
---
✅ সংক্ষিপ্ত সারাংশ:
প্রজন্মভিত্তিক:
১ম – ভ্যাকুয়াম টিউব
২য় – ট্রানজিস্টর
৩য় – IC
৪র্থ – মাইক্রোপ্রসেসর
৫ম – কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
ধরনভিত্তিক:
১. এনালগ
২. ডিজিটাল
৩. হাইব্রিড
আকারভিত্তিক:
১. সুপার
২. মেইনফ্রেম
৩. মিনি
৪. মাইক্রো
সুপার মাইক্রো
ডেস্কটপ
ল্যাপটপ
নোটবুক
পিডিএ
Comments
Post a Comment
If you have any doubt. Please let me Know.