Skip to main content

হার্ডওয়্যার ও মেমোরি (সুন্দর ও সঠিকভাবে সাজানো নোট)

🟢 হার্ডওয়্যার ও মেমোরি (সুন্দর ও সঠিকভাবে সাজানো নোট)



---


💻 ১. হার্ডওয়্যার (Hardware)


"Hard" মানে শক্ত এবং "ware" মানে বস্তু বা জিনিস।


অর্থাৎ, কম্পিউটারের যে সব অংশ দেখা ও ছোঁয়া যায়, সেগুলোকে হার্ডওয়্যার বলা হয়।


উদাহরণ: কিবোর্ড, মাউস, মনিটর, প্রিন্টার, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি।



🔸 হার্ডওয়্যারকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়:


1. ইনপুট ডিভাইস (Input Devices)


➤ যা দিয়ে কম্পিউটারে ডেটা বা নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

➤ উদাহরণ: কিবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, ডিজিটাল ক্যামেরা, পেনড্রাইভ, লাইট পেন, ওসিআর মেশিন, ওএমআর মেশিন।



2. সিস্টেম বা প্রসেসিং ইউনিট (System Unit)

➤ ডেটা প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণের কাজ করে।

➤ উদাহরণ: হার্ডডিস্ক (HDD), SSD, র‌্যাম, রম, প্রসেসর (CPU), মাদারবোর্ড, ডিসপ্লে কার্ড।



3. আউটপুট ডিভাইস (Output Devices)

➤ প্রক্রিয়াজাত ডেটা দেখায় বা প্রিন্ট করে।

➤ উদাহরণ: মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার, রেকর্ডার, প্রজেক্টর।





---


🟢 ২.  হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের পার্থক্য (পয়েন্ট আকারে)


🔸 হার্ডওয়্যার:


1. কম্পিউটারের দৃশ্যমান ও স্পর্শযোগ্য অংশ।



2. বাহ্যিক গঠন তৈরি করে, যেমন কিবোর্ড, মাউস, মনিটর, CPU।



3. হার্ডওয়ার ছাড়া সফটওয়্যার চলতে পারে না।



4. এটি নিজে কোনো কাজ করে না, সফটওয়্যারের নির্দেশনা অনুসরণ করে।



5. এর উদাহরণ: কিবোর্ড, মাউস, প্রিন্টার, হার্ডডিস্ক, RAM।




🔸 সফটওয়্যার:


1. নির্দেশনা বা প্রোগ্রামের সমষ্টি যা কম্পিউটারকে কাজ করায়।



2. অদৃশ্য এবং স্পর্শযোগ্য নয় — স্ক্রিনে দেখা যায়।



3. সফটওয়্যার ছাড়া হার্ডওয়্যার নির্জীব।



4. এটি হার্ডওয়্যারকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে।



5. এর উদাহরণ: MS Word, Excel, Windows, Chrome।


সহজ মনে রাখার কৌশল:

হার্ডওয়্যার = শরীর,

সফটওয়্যার = প্রাণ / মস্তিষ্ক


🟢 ৩. মেমোরি (Memory)


➤ মেমোরি হলো এমন একটি অংশ, যেখানে ডেটা ও নির্দেশনা সাময়িক বা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়।


🔹 মেমোরিকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়:


1. মেইন মেমোরি (Main/Internal Memory)

➤ কম্পিউটারের চলাকালীন ডেটা সাময়িকভাবে রাখে।


RAM (Random Access Memory): অস্থায়ী মেমোরি, বিদ্যুৎ বন্ধ হলে তথ্য মুছে যায়।


ROM (Read Only Memory): স্থায়ী মেমোরি, শুধু পড়া যায়, পরিবর্তন করা যায় না।


RWM (Read Write Memory): যেটিতে পড়া ও লেখা দুটোই করা যায়।




2. অক্সিলিয়ারি মেমোরি (Auxiliary/External Memory)

➤ স্থায়ীভাবে তথ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।

➤ উদাহরণ:


HDD (Hard Disk Drive)


FDD (Floppy Disk Drive)


Pen Drive


CD/DVD


Memory Card




3. ক্যাশ মেমোরি (Cache Memory)

➤ খুব দ্রুতগতির মেমোরি, CPU এর সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে।

➤ ক্যাশ মেমোরি দুই প্রকার:


Internal Cache: CPU এর মধ্যে থাকে


External Cache: CPU এর বাইরে থাকে, কিন্তু খুব কাছাকাছি






---


সংক্ষেপে মনে রাখার জন্য:


🔹 ইনপুট ➝ প্রসেস ➝ আউটপুট ➝ সংরক্ষণ = কম্পিউটারের কাজ

🔹 RAM = অস্থায়ী মেমোরি, ROM = স্থায়ী মেমোরি

🔹 হার্ডওয়্যার = দৃশ্যমান বস্তু, সফটওয়্যার = অদৃশ্য নির্দেশনা

🔹 ক্যাশ মেমোরি = CPU-র সহকারী দ্রুতগতির মেমোরি।


Comments

Popular posts from this blog

💻 কম্পিউটার বিষয়ক পরিপূর্ণ সংক্ষিপ্ত নোট

💻 কম্পিউটার বিষয়ক পরিপূর্ণ সংক্ষিপ্ত নোট 🟢 ১. কম্পিউটার কী? কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা গাণিতিক, যৌক্তিক ও সিদ্ধান্তমূলক কাজ করতে পারে। এটি পূর্বনির্ধারিত নির্দেশনার (Programs) মাধ্যমে ডেটা প্রসেস করে, সংরক্ষণ করে ও ফলাফল দেখায়। "Computer" শব্দটি এসেছে Latin শব্দ "Computare" থেকে, যার অর্থ "to calculate"। 🟢 কম্পিউটারের ইতিহাস (সুন্দরভাবে বিন্যাস করা নোট) আবাকাস (Abacus) পৃথিবীর প্রথম গণনা যন্ত্র। খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ২৫০০ সালের দিকে ব্যাবিলনে ব্যবহৃত হতো। এটি ছিল হাতে চলানো গাণিতিক হিসাবের কাঠামো। চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage) ১৮৩৩ সালে "Analytical Engine" আবিষ্কার করেন। তাঁকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয় (Father of Modern Computer)। তাঁর ডিজাইনেই পরবর্তী কম্পিউটারের ধারণা আসে। হার্ভার্ড মার্ক-১ (Harvard Mark-1) আবিষ্কার: ১৯৪৪ সালে, IBM-এর সহযোগিতায়। এটি ছিল প্রথম ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল ডিজিটাল কম্পিউটার। দৈর্ঘ্য ছিল ৫১ ফুট, উচ্চতা ৮ ফুট। এটি ইনপুট-আউটপুটসহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করত। ENIAC (Electronic Numerical Integrator and Calculator...

কম্পিউটারের প্রজন্মভিত্তিক বিবর্তন (Generations of Computers)

 💻 কম্পিউটারের প্রজন্মভিত্তিক বিবর্তন (Generations of Computers) ১ম প্রজন্ম (১৯৪০–১৯৫৬) প্রযুক্তি: ভ্যাকুয়াম টিউব ইনপুট/আউটপুট: পাঞ্চ কার্ড ও কাগজে ছাপা আউটপুট মেমোরি: ম্যাগনেটিক ড্রাম/টেপ ভাষা: মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ বৈশিষ্ট্য: বড় আকৃতির, গরম হতো, ধীরগতি উদাহরণ: ENIAC, UNIVAC I, IBM 650 ২য় প্রজন্ম (১৯৫৬–১৯৬৩) প্রযুক্তি: ট্রানজিস্টর ইনপুট/আউটপুট: পাঞ্চ কার্ড ও প্রিন্টার মেমোরি: ম্যাগনেটিক কোর ভাষা: অ্যাসেম্বলি, FORTRAN, COBOL বৈশিষ্ট্য: আকারে ছোট, দ্রুতগতি, তুলনামূলক নির্ভরযোগ্য উদাহরণ: IBM 1401, IBM 7090, UNIVAC 1107 ৩য় প্রজন্ম (১৯৬৪–১৯৭১) প্রযুক্তি: ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC) ইনপুট/আউটপুট: মনিটর, কীবোর্ড মেমোরি: ম্যাগনেটিক ডিস্ক ভাষা: BASIC, Pascal, C বৈশিষ্ট্য: GUI (Graphical User Interface) এর সূচনা উদাহরণ: IBM 360, IBM 370, PDP-11 ৪র্থ প্রজন্ম (১৯৭১–বর্তমান) প্রযুক্তি: মাইক্রোপ্রসেসর (VLSI) ইনপুট/আউটপুট: মাউস, স্ক্যানার, মনিটর মেমোরি: RAM, ROM, হার্ডডিস্ক, SSD ভাষা: C++, Java, Python বৈশিষ্ট্য: ছোট আকৃতি, দ্রুত, সাশ্রয়ী উদাহরণ: IBM PC, Apple Macintosh ৫ম প্রজন্ম (বর্তমান ও ভব...